যেখানেই যান, মোহম্মদ সালাহর হাতে থাকে কোরআন

বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষ’ত্র মোহাম্ম’দ সালাহ। আর মু’সলিম এই ফুটবলার স’ম্পর্কে নানা বিস্ময়কর ত’থ্য জানা গেছে। আপনি কি জানেন, নিয়মিত কোরআন পড়া তার অভ্যাস? মিশরীয় মোহম্ম’দ সালাহ’র

জনপ্রিয়তা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। ফুটবলবিশ্বে কোনো মু’সলিম খেলোয়াড় এত দ্রু’ত আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেননি। মাঠে ও মাঠের বাইরে দুই জায়গায় সমানতালে তুমুল জনপ্রিয় ফরোয়ার্ড। বিবিসির এক সংবাদে জানা যায়,

সালাহ একজন নিবেদিত মু’সলিম। তাই ধর্মচর্চায় কোনো রাখঢাক করেন না। নানা ধরনের ধর্মীয় আচার পালন করতে দেখা যায় তাকে। মাঠে হরহামেশা এর প্রমাণ মেলে। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েই মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।সেজদাহে অবনত হন, দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন।খেলা শুরুর আগেও দোয়া করেন। যেখানে যান স’ঙ্গে রাখেন পবিত্র কোরআন। এরই মধ্যে ম্যাচ খেলতে বিমানে ভ্রমণকালে সালাহর কোরআন

পড়ার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে কোনোজায়গায় যাওয়ার সময় তার হাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থটির ছবিও। চাউর হয়েছে, অবসর পেলেই কোরআন পড়েন তিনি। সেটি কোনো বিমান ভ্রমণ বা যাতায়াত বা অন্য কাজের ফাঁকেই হোক।কিছু দিন আগে সালাহ জানান, আমার শ’রীরে কোনো ট্যাটুর চিহ্ন নেই। আমি কখনও হেয়ারস্টাইল পরিবর্তন করি না। আমি জানিও না কীভাবে নাচতে হয়। এভাবেই খেলা চা’লিয়ে যেতে চাই। অবশ্য এসব

ত’থ্য আগেই ফাঁ’স হয়। তবু সেসব নিয়ে বিশ্ব ফুটবলপাড়ায় আলোচনা এখন তুঙ্গে। মিশরীয় এই তারকা ফুটবলার ১৯৯২ সালের ১৫ জুন মিশরের বাসাউনের নাগরিগ শহরে জ’ন্মগ্রহণ করেন এই তারকার। ক্লাব ক্যারিয়ারে লিভারপুল এবং জাতীয় দল মিশরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন সালাহ। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার সালাহ তার গতি, ড্রিবলিং এবং ফিনিশিংয়ের জন্য বিখ্যাত। ক্লাব ক্যারিয়ারে ফিওরেন্টিনা, চেলসি, এফসি বাসেল, রোমা এবং লিভারপুলের মতো বড় বড় ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতানোর অ’ভিজ্ঞতা হয়েছে সালাহর। এছাড়া জাতীয় দলকেও বিশ্বকাপ এবং ইউরোর মতো আসরে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত পুরস্কার জয়ে বেশ সুনাম রয়েছে সালাহর। আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড়, প্রিমিয়ার লীগের সেরা খেলোয়াড়, গোল্ডেন বুটসহ আরও অনেক পুরস্কার জিতেছেন তিনি।লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপাও জিতেছেন এই তারকা। এছাড়া আরও একবার হয়েছেন রানার্সআপ। ২০১৭ সালের আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের রানার্সআপও হয়েছিলেন মিশরের হয়ে।

Leave a Comment